অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রধান উপদেষ্টা, কুমিল্লা সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর নূরউর রহমান খান।
মঙ্গলবার, ০১ Jul ২০২৫, ০৮:১৫ অপরাহ্ন
কিশোর গ্যাংয়ের পাল্লায় পড়ে বিভিন্ন অপরাধে ক্রমেই জড়িয়ে পড়ছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু-কিশোররা। এতে প্রতিনিয়ত ভঙ্গ হচ্ছে শত শত মা-বাবা স্বপ্ন। এই গ্যাংয়ের এক একজন সদস্য হিংস্র, নৃশংস ও বিভীষিকাপূর্ণরূপে দেখা দিচ্ছে। এর থেকে বাচতে হলে প্রতিটি ছাত্রের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।
আগামীর প্রজন্মকে রক্ষার লক্ষ্যে এখনই গ্যাংয়ের লাগাম টেনে ধরা দরকার। তা না হলে ভবিষ্যতে এটি খুব ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
সোমবার (৫ মে) দুপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘ কুমিল্লা জেলা কর্তৃক কুমিল্লা কমার্স কলেজ মিলনায়তনে ’কিশোর গ্যাং সমস্যায় করণীয় ও প্রতিকারের উপায়’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তরা এসব কথা বলেন।
বক্তরা আরও বলেন, স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রধান উপদেষ্টা, কুমিল্লা সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর নূরউর রহমান খান।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে করে বক্তরা বলেন, সন্তানকে বিভিন্ন চারিত্রিক গুণাবলির শিক্ষা দিতে হবে, তাকে সময় দিতে হবে এবং একইসঙ্গে সন্তানের আচার-আচরণের ওপর খেয়াল রাখতে হবে যাতে পারিবারিক শিক্ষা সমুন্নত থাকে। আপনার সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিচ্ছে কিনা এবং সন্ধ্যার সঙ্গে সঙ্গে বাসায় ঢুকছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখতে হবে। অন্যথানায় আপনার অবহেলায় এক দিন স্বপ্নের সন্তানটি হারিয়ে যাবে অপরাধ জগতে। সেই সময়ে হাজারো আফসোস করলেও কোন কাজে আসবে না।